মার্কিন সংবিধান
মার্কিন সংবিধান একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দলিল। এটি দেশের জন্য একটি নিয়ম বইয়ের মতো। এটি আমাদের বলে যে সরকার কীভাবে কাজ করবে এবং জনগণের কী অধিকার রয়েছে।
সংবিধান কাকে বলে?
সংবিধান সরকারের জন্য একটি লিখিত পরিকল্পনা। এটি অনেক আগে লেখা হয়েছিল, 1787 সালে। এটির নিয়ম রয়েছে যা দেশের প্রত্যেককে অনুসরণ করতে হবে।
সংবিধান কেন গুরুত্বপূর্ণ?
সংবিধান গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি আমাদের দেশকে সুষ্ঠু ও নিরাপদ রাখতে সাহায্য করে। এটি নিশ্চিত করে যে কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর খুব বেশি ক্ষমতা নেই। এটি আমাদের অধিকারও রক্ষা করে, যেমন স্বাধীনভাবে কথা বলার অধিকার এবং ন্যায্য আচরণ করার অধিকার।
সংবিধানের অংশ
সংবিধানের তিনটি প্রধান অংশ রয়েছে:
- প্রস্তাবনা: এটি ভূমিকা। এটা আমাদের বলে যে কেন সংবিধান লেখা হয়েছিল।
- প্রবন্ধ: সরকার কীভাবে কাজ করে তার জন্য এইগুলি প্রধান নিয়ম। সাতটি প্রবন্ধ আছে।
- সংশোধনী: এগুলি সংবিধানের পরিবর্তন বা সংযোজন। 27টি সংশোধনী আছে।
প্রস্তাবনা
প্রস্তাবনা সংবিধানের প্রথম অংশ। এটি "আমরা মানুষ" শব্দ দিয়ে শুরু হয়। এর মানে সরকার জনগণের কাছ থেকে তার ক্ষমতা পায়। প্রস্তাবনা বলে যে সংবিধান লেখা হয়েছিল:
- উন্নত দেশ গড়ি
- ন্যায্য আইন করুন
- দেশে শান্তি বজায় রাখুন
- দেশকে রক্ষা করুন
- মানুষকে সুখী ও সুস্থ থাকতে সাহায্য করুন
- আমাদের স্বাধীনতা রক্ষা করুন
প্রবন্ধ
প্রবন্ধগুলি সরকার কীভাবে কাজ করে তার প্রধান নিয়ম। সাতটি নিবন্ধ রয়েছে:
- ধারা I: এই নিবন্ধটি আইনী শাখা সম্পর্কে কথা বলে। এই শাখা আইন তৈরি করে। এটি কংগ্রেস নিয়ে গঠিত, যার দুটি অংশ রয়েছে: সেনেট এবং প্রতিনিধি পরিষদ।
- ধারা II: এই নিবন্ধটি নির্বাহী শাখা সম্পর্কে কথা বলে। এই শাখা আইন প্রয়োগ করে। এর নেতৃত্বে আছেন রাষ্ট্রপতি মো.
- ধারা III: এই নিবন্ধটি বিচার বিভাগীয় শাখা সম্পর্কে কথা বলে। এই শাখা আইনের ব্যাখ্যা করে। এটি সুপ্রিম কোর্ট সহ আদালত নিয়ে গঠিত।
- ধারা IV: এই নিবন্ধটি রাজ্যগুলির বিষয়ে কথা বলে। এটি বলে যে কীভাবে রাজ্যগুলির একসাথে এবং ফেডারেল সরকারের সাথে কাজ করা উচিত।
- অনুচ্ছেদ V: এই নিবন্ধটি সংবিধান পরিবর্তন করার বিষয়ে আলোচনা করে। পরিবর্তনগুলিকে সংশোধন বলা হয়।
- অনুচ্ছেদ VI: এই অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে সংবিধান দেশের সর্বোচ্চ আইন। সবাইকে তা অনুসরণ করতে হবে।
- অনুচ্ছেদ VII: এই নিবন্ধটি কীভাবে সংবিধান অনুমোদিত হয়েছিল সে সম্পর্কে কথা বলে। এটি 1787 সালে রাজ্যগুলি দ্বারা অনুমোদিত হয়েছিল।
সংশোধনী
সংশোধনীগুলি সংবিধানের পরিবর্তন বা সংযোজন। 27টি সংশোধনী আছে। প্রথম দশটি সংশোধনীকে বিল অফ রাইটস বলা হয়। এগুলি 1791 সালে যুক্ত করা হয়েছিল। অধিকার বিল আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধিকারগুলিকে রক্ষা করে:
- প্রথম সংশোধনী: বাক, ধর্ম, প্রেস, সমাবেশ এবং পিটিশনের স্বাধীনতা।
- দ্বিতীয় সংশোধনী: অস্ত্র বহন করার অধিকার।
- তৃতীয় সংশোধনী: অনুমতি ছাড়া বাড়িতে সৈন্যদের কোয়ার্টারিং করা যাবে না।
- চতুর্থ সংশোধনী: অযৌক্তিক অনুসন্ধান এবং আটকের বিরুদ্ধে সুরক্ষা।
- পঞ্চম সংশোধনী: ফৌজদারি মামলায় অধিকার, নীরব থাকার অধিকার।
- ষষ্ঠ সংশোধনী: ন্যায্য বিচারের অধিকার।
- সপ্তম সংশোধনী: দেওয়ানি মামলায় জুরি দ্বারা বিচারের অধিকার।
- অষ্টম সংশোধনী: নিষ্ঠুর এবং অস্বাভাবিক শাস্তির বিরুদ্ধে সুরক্ষা।
- নবম সংশোধনী: জনগণের অন্যান্য অধিকার রয়েছে যা সংবিধানে তালিকাভুক্ত নয়।
- দশম সংশোধনী: ফেডারেল সরকারকে দেওয়া নয় এমন ক্ষমতা রাজ্য বা জনগণের।
সংশোধনীর উদাহরণ
এখানে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনগুলির কিছু উদাহরণ রয়েছে:
- ত্রয়োদশ সংশোধনী: এই সংশোধনী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দাসপ্রথার অবসান ঘটায়।
- ঊনবিংশ সংশোধনী: এই সংশোধনী নারীদের ভোটাধিকার দিয়েছে।
- 26 তম সংশোধনী: এই সংশোধনীটি ভোট দেওয়ার বয়স 18-এ নামিয়ে এনেছে।
সরকার কিভাবে কাজ করে
সংবিধান সরকারের তিনটি শাখা স্থাপন করে। প্রতিটি শাখার নিজস্ব কাজ আছে:
- লেজিসলেটিভ ব্রাঞ্চ: এই শাখা আইন তৈরি করে। এটি কংগ্রেস নিয়ে গঠিত, যার দুটি অংশ রয়েছে: সেনেট এবং প্রতিনিধি পরিষদ। সিনেটে 100 জন সদস্য রয়েছে, প্রতিটি রাজ্য থেকে দুজন করে। প্রতিনিধি পরিষদের 435 জন সদস্য রয়েছে। প্রতিটি রাজ্যের প্রতিনিধির সংখ্যা রাজ্যের জনসংখ্যার উপর নির্ভর করে।
- নির্বাহী শাখা: এই শাখা আইন প্রয়োগ করে। এর নেতৃত্বে আছেন রাষ্ট্রপতি মো. রাষ্ট্রপতি প্রতি চার বছর পর নির্বাচিত হন। রাষ্ট্রপতির অনেক কাজ আছে, যেমন আইনে বিলে স্বাক্ষর করা, সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব দেওয়া এবং অন্যান্য দেশের সাথে কাজ করা।
- বিচার বিভাগ: এই শাখা আইন ব্যাখ্যা করে। এটি সুপ্রিম কোর্ট সহ আদালত নিয়ে গঠিত। সুপ্রিম কোর্টে নয়জন বিচারপতি রয়েছেন। তারা সিদ্ধান্ত নেয় যে আইনগুলি সংবিধান অনুসরণ করে কিনা।
চেক এবং ব্যালেন্স
সংবিধান চেক এবং ব্যালেন্সের একটি সিস্টেম সেট আপ করে। এর মানে হল যে সরকারের প্রতিটি শাখা অন্য শাখার ক্ষমতা যাচাই বা সীমিত করতে পারে। এটি নিশ্চিত করতে সাহায্য করে যে কোন একটি শাখা খুব শক্তিশালী হয়ে ওঠে না।
- লেজিসলেটিভ শাখা: আইন প্রণয়ন করতে পারে, কিন্তু রাষ্ট্রপতি তাদের ভেটো দিতে পারেন। রাষ্ট্রপতি ও বিচারকদের অভিশংসন করতে পারেন।
- নির্বাহী শাখা: আইন ভেটো দিতে পারে, কিন্তু কংগ্রেস দুই-তৃতীয়াংশ ভোট দিয়ে ভেটোকে অগ্রাহ্য করতে পারে। বিচারক নিয়োগ করে, তবে সিনেটকে তাদের অনুমোদন দিতে হবে।
- বিচার বিভাগ: রাষ্ট্রপতি কর্তৃক আইন ও কর্মকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করতে পারে।
অধিকার এবং দায়িত্ব
সংবিধান আমাদের অনেক অধিকার দেয়, কিন্তু দায়িত্বও দেয়। অধিকার এমন জিনিস যা আমরা স্বাধীনভাবে করতে পারি। দায়িত্ব হল আমাদের দেশকে সাহায্য করার জন্য যা করা উচিত।
- অধিকার: বাক স্বাধীনতা, ভোটের অধিকার, ন্যায্য বিচারের অধিকার।
- দায়িত্ব: আইন মেনে চলা, নির্বাচনে ভোট দেওয়া, জুরির দায়িত্ব পালন করা।
সারাংশ
মার্কিন সংবিধান একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দলিল। এটা আমাদের দেশের জন্য নিয়ম বই। এটি আমাদের বলে যে সরকার কীভাবে কাজ করবে এবং আমাদের কী অধিকার রয়েছে। সংবিধানের তিনটি প্রধান অংশ রয়েছে: প্রস্তাবনা, প্রবন্ধ এবং সংশোধনী। প্রস্তাবনা হল ভূমিকা। প্রবন্ধগুলি সরকার কীভাবে কাজ করে তার প্রধান নিয়ম। সংশোধনীগুলি সংবিধানের পরিবর্তন বা সংযোজন। প্রথম দশটি সংশোধনীকে বিল অফ রাইটস বলা হয়। সংবিধান সরকারের তিনটি শাখা স্থাপন করে: লেজিসলেটিভ ব্রাঞ্চ, এক্সিকিউটিভ ব্রাঞ্চ এবং জুডিশিয়াল ব্রাঞ্চ। প্রতিটি শাখার নিজস্ব কাজ আছে। সংবিধানও চেক এবং ব্যালেন্সের একটি সিস্টেম সেট করে যাতে নিশ্চিত হয় যে কোনো একটি শাখা খুব বেশি শক্তিশালী না হয়। সংবিধান আমাদের অনেক অধিকার দেয়, কিন্তু দায়িত্বও দেয়। এটা আমাদের দেশকে সুষ্ঠু ও নিরাপদ রাখতে সাহায্য করে।